কয়েক বছরে ১৩৯ জনের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ভারতের হায়দরাবাদের ২৫ বছরের দলিত নারী। ২০০৯ সালে তার বিয়ে হয়। তখন তিনি কিশোরী। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মাত্র ১ বছরের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তার।
অভিযোগকারী মহিলার দাবি, বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়ির অনেকেই তাকে নানাভাবে শারীরিক হেনস্থা করেছে। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পড়েও সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। সাত বছর সহ্য করার পর তাই তিনি বাধ্য হয়েই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তার দাবি, মুখ খুললে প্রাণে মারার ভয় দেখাতো নিগ্রহকারীরা। ভয়ে, আতঙ্কে, লজ্জায় কারও কাছে এতদিন এই নিগ্রহের কথা বলতে পারেননি। রাস্তায় বেরোতে ভয় পেতেন।
যুবতীর অভিযোগ, বিগত সাত বছর ধরে নানা জায়গায় তাকে হেনস্থা করা হয়েছে। স্বামীর বাড়ির সদস্যরা ছাড়াও বাইরে বহুজনের নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু ধর্ষকদের হুমকি, লোকলজ্জার ভয়ে কখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু এখন তার পিঠ দেওয়ালে ঠেকেছে, তাই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন, এমনটাই জানিয়েছেন নিগৃহীতা ওই তরুণী ।
অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তফসিলি জাতি এবং উপজাতি নিগ্রহ-সহ ধর্ষণ ও একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ৪২ পাতার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই তরুণী। মামলা রুজু হওয়ার পর অভিযোগকারিণীর মেডিকেল টেস্টও করা হয়েছে।
ভারতের হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুট্টা থানার পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক বছরে ১৩৯ জন তাকে নানাভাবে ধর্ষণ এবং শারীরিক নিগ্রহ করে। কিন্তু হুমকি, ভয়, আতঙ্ক, লজ্জায় চুপ করে ছিলেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন অভিযোগকারী।’